/ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা /
২৪খবরবিডি: একটি বড় ধরনের সংকটে পরিণত হওয়ার আগেই অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) ঠেকাতে টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এএমআর এমন একটি সমস্যা, যা সংকটে রূপ নিতে পারে। এর কারণে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ প্রাণহানি হতে পারে।'
'এটি প্রতিরোধে আমাদের টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এএমআর সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে লেক্সিংটন হোটেলে আজ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ে প্রাতঃরাশ বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে নিউ ইয়র্কে আছেন। তিনি বলেন, বিশ্বনেতৃবৃন্দের এই গ্রুপ থেকে বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্যে কাজ চলছে। কিন্তু এটি স্পষ্ট যে এই ব্যাপারে আরও কিছু করা প্রয়োজন। কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। আমাদের একটি 'অভিন্ন স্বাস্থ্য পদ্ধতি'তে স্থিত হওয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে, প্রায় ১৫০টি দেশের এএমআর বিষয়ে তাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এগুলো বাস্তবায়নের জন্যে অর্থপূর্ণ সহায়তা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতায় এএমআর গুরুত্ব পাওয়া উচিত এবং ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মাল্টি-পার্টনার ট্রাস্ট ফান্ড পছন্দের হাতিয়ার হতে পারে। এএমআর-এর জন্য বিশ্ব ও জাতীয় পর্যায়ে একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ পরিস্থিতি তৈরি করা দরকার বলেও তিনি উল্লেখ করেন।'
'প্রধানমন্ত্রী বলেন, এএমআর-এর দায়িত্ব ও প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্যে নজরদারি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে গ্লাস প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করে আসছে। সংশ্লিষ্ট সব অংশীদারের জড়িত হওয়া অত্যাবশ্যকীয় এবং একটি রোগী-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতির সঙ্গে যোগসূত্রের মাধ্যমে শুরুতেই রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করা যেতে
'অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধের' ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। নতুন এএমআর-এর ভ্যাকসিন ও অন্যান্য চিকিৎসার জন্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনের অভাবকে উদ্বেগের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ জন্যে বেসরকারি খাতের যথাযথ প্রণোদনা প্রয়োজন।'
'কিছু জটিল প্যাথোজেনের জন্য এএমআরের বিকাশের ঝুঁকি রয়েছে। এই বিষয়ে সংগৃহীত প্রমাণ এবং তথ্য-উপাত্ত বেশ চোখ খুলে দেওয়ার মতো। সরকারপ্রধান বলেন, এএমআর সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির কোনও বিকল্প নেই এবং এ জন্যে নভেম্বরে বার্ষিক বিশ্বসচেতনতা সপ্তাহ একটি উপযুক্ত উপলক্ষ। শেখ হাসিনা অভিমত দেন, এই সূচকগুলোর ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ মানবস্বাস্থ্য, প্রাণিস্বাস্থ্য, খাদ্যব্যবস্থা এবং পরিবেশকে প্রভাবিত করে এমন এএমআর নীতি তৈরিতে সাহায্য করতে পারে বলে।'- সূত্র: বাসস।